ইউনিয়নের ইতিহাস
পাকিস্থান আমল থেকে ইউনিয়ন পরিষদটি রংপুর মহকুমার হাতীবান্ধা থানার ০৭ নং নওদাবাস ইউনিয়ন পরিষদ এর আওতাধীন ছিল। ১৯৬০ সনের পূর্বে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট বলা হত। তৎকালীন ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোঃ আকবর হোসেন মিয়া। ১৯৬০ সনে আইয়ুব খান ইউনিয়ন পরিষদ প্রেসিডেন্ট নাম পরিবর্তন করে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নামকরন করেন। তখন এই ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন জনাব মোঃ এছান উদ্দিন মিয়া। পরে জনাব মোঃ আকবর হোসেন মিয়া, জনাব মোঃ এছান উদ্দিন মিয়াকে পরাজিত করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার শাসন আমলে ১৯৭৩ সনে ০৭ নং নওদাবাসইউনিয়ন পরিষদ দ্বিখন্ডিত হইয়া ০৮ নং নওদাবাস ও ০৯ নং গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ নামে দুটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। সে সময় জনাব মোঃ এছান উদ্দিন মিয়া পুনরায় ০৯ নং গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ১৯৮১ সনে লালমনিরহাট জেলা গঠিত হলে এই ইউনিয়নটি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার অন্তর্গত ইউনিয়ন হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। ১৯৮৮ সনের পর যখন অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে জনাব মোঃ আনছার আলী মিয়া দায়িত্ব পালন করছিলেন তখন বাংলাদেশ সরকার দরিদ্র এলাকা চিহ্নিত করে জরুরী ভিত্তিতে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক বরাদ্দ প্রদান করেন। লালমনিরহাট জেলায় এই বরাদ্দের ভূক্ত হলে জেলা পরিষদ উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া থানা হিসেবে হাতীবান্ধাকে তলিকা ভূক্ত করে। হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ দরিদ্র প্রবন এলাকা ও নবগঠিত ইউনিয়ন হিসেবে উন্নয়নে পিছিয়ে পড়া ইউনিয়ন হিসেবে চিহ্নিত করে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে আদর্শ যুক্ত করে নামকরন করেন ০৯ নং আদর্শ গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদ।